গাজীপুর জেলার শিল্পাঞ্চল খ্যাত কালিয়াকৈর উপজেলার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মৌচাক । এলাকাটি বর্তমানে শিল্প নগরী হিসেবে অত্যন্ত জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ। মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যান চলাচল করে। এলাকাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়াতে এখানে একটি পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে।
পুলিশ ফাঁড়ির ১০ গজ সামনে মহাসড়ক ধরে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার উপরে ফুটপাত ও সড়কের বেশ কিছু অংশে অবৈধ কিছু স্থায়ী ও কিছু ভাসমান দোকান প্রতিদিনই বসছে।
এতে জনসাধারণের নির্বিঘ্নে চলাচল ব্যাহত হচ্ছে,যানবাহন চলাচলে আরোও বেশি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সড়ক দখল করে এ ধরনের অবৈধ দোকানপাট ঘিরে রাখছে প্রতিদিন হাজার হাজার ক্রেতা ও বিক্রেতা। এতে করে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মাঝে মধ্যে ভয়াবহ যানজটের কারণে জনদুর্ভোগ ভয়াবহ রূপ ধারণ করে।
এ ব্যাপারে মহাসড়ক ও ফুটপাতের উপর বসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু দোকানি জানান,প্রতিদিনের জন্য তারা ৫০ থেকে ১০০ টাকা দিয়ে থাকেন।
তবে মাঝে মধ্যে হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক তাদের উঠিয়ে দেয়।
মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম খবরের সময়ের প্রতিবেদককে সরাসরি জানান,এটা আমার দেখারও জানার বিষয় না এটা সম্পূর্ণ দেখভাল করেন হাইওয়ে পুলিশ।
প্রায় সময় এখানে চুরি ছিনতাই হয়,এটা দেখার দায়িত্ব কার ? এমন প্রশ্ন করলে তিনি কিছুটা বিব্রতবোধ করেন এবং জানান,আমি ব্যস্ত পরে কথা বলবো ।
অপর দিকে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়িতে বসা ছিলেন,সালনা হাইওয়ে পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক,শহীদ আলাপচারিতায় জানান,আমরা অনেকটা নিরুপায়,আমরা উচ্ছেদ করার পরপর স্থানীয় কিছু রাজনীতিবিদদের ছত্রছায়ায় ঐ সমস্ত দোকানীরা পূণরায় পসরা সাঁজিয়ে বসে যায় । শুধু এটাই নয়,সড়কের অপরপ্রান্তে মহাসড়ক দখল করে প্রাইভেটকার,মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড বানিয়েছে । ভাইজান কি আর বলবো,অদৃশ্য শক্তি সব জায়গায় কমবেমি রয়েছে । যাই হোক আপনারা ওসি স্যারের সঙ্গে কথা বলেন ।
এদিকে সালনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ফিরোজ হোসেন মুঠোফোনে জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল হাইওয়ের উপরে অবৈধ স্থাপনা ও ভাসমান অবৈধ দোকানপাট কথা অসত্য নয়, আমরা প্রতিদিনই উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রেখেছি। আমরা উচ্ছেদের পর কিছু কিছুকিছু স্থানে পুনরায় বসে যায়। আমাদের লোকবল সংকটের জন্য সকল দিক সামলানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।